Emir Bahadir Yalangtush

Emir Bahadie Yalangtush (আমীর বাহাদুর ইয়ালাংতুশ)

পরিচিতি

ইয়ালাংতুশ বাহাদুর (ফারসি: یلنگ توش بهادر) (১৫৭৮, বুখারা – ১৬৫৬, সমরকন্দ) ছিলেন আশতরখানীয় আমলের একজন প্রভাবশালী সামরিক ও অভিজাত শ্রেণির প্রতিনিধি। তিনি উজবেকদের ওলচিন গোত্রের ছিলেন এবং ১৬২৬ সাল থেকে সমরকন্দের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বুখারার খান আবদুল্লাহ খানের তত্ত্বাবধানে বেড়ে উঠেছিলেন।

তাঁর সম্পর্কিত দলিলপত্রে তাঁর নাম ইয়ালাংতুশ বীয় হিসেবে উল্লেখ আছে। বুখারা খানাত ও সাফাভি সাম্রাজ্যের নথিতেও তাঁর নাম ইয়ালাংতুশবী রূপে পাওয়া যায়।

রুশ সাম্রাজ্যের ইতিহাসে তাঁকে শুধুমাত্র ইয়ালাংতুশবী নামে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রকহাউস ও ইয়েফ্রনের বিশ্বকোষে তাঁর নাম লেখা হয়েছে ইয়ালানতুশ বাহাদুর

বিশ্বের প্রাচ্য সাহিত্যেও তাঁর নাম ইয়ালাংতুশবী রূপেই ব্যবহৃত হয়েছে।

 

তাঁর পিতা বয়খোজার পুত্র হিসেবে সমাধিফলকে ইয়ালান্তাশ নাম খোদাই করা আছে, এবং আধুনিক উজবেক ভাষায় সমাধির পাশে স্থাপিত পাথরফলকে তাঁর নাম লেখা হয়েছে ইয়ালান্তোশ বাহাদুর

কাহিনী

বুখারায় থাকাকালীন ইয়ালাংতুশ অল্প বয়সেই প্রশাসন ও সামরিক বিদ্যা আয়ত্ত করেন। এ সময় শহরের প্রধান তাঁর বুদ্ধিমত্তা ও মেধা লক্ষ্য করেন।

ইয়ালাংতুশ ফারসি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। তাঁর নামে রচিত সব আইনি দলিল এবং রেগিস্তান চত্বরে অবস্থিত একটি মাদ্রাসার শিলালিপিও ফারসি ভাষায় লেখা।

১৬০৫ সালে জানিদ বংশের বাকি মুহাম্মদ খানের মৃত্যুর পর ইয়ালাংতুশ প্রথমে ভালি মুহাম্মদ খানকে সমর্থন দেন, কিন্তু ১৬১১ সালে তিনি আশতরখানীয় শাসক ইমাম কুলি খানকে সমর্থন করে তাঁর বিপক্ষে অবস্থান নেন। ফলস্বরূপ ১৬১২ সালে নতুন খান ইয়ালাংতুশকে সমরকন্দের আমির হিসেবে নিয়োগ দেন এবং পরে তাঁকে প্রধান অভিভাবকের পদেও উন্নীত করেন।

তিনি মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে বিপুল পরিমাণ ভূমির মালিক ছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, ১৬৫০ সালের ৩০ এপ্রিল একটি দলিলে উল্লেখ আছে যে তিনি সমরকন্দের শোভদার অঞ্চলের পসারচাক মহল্লায় জমি ও বাগানের অংশ কিনেছিলেন।

রহস্য ও উন্মোচন

১৬১১ সালে ইয়ালাংতুশ বাহাদুর ইমাম কুলি খানের সিংহাসন আরোহনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। এর পর থেকে তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং ১৬২৬ সাল থেকে তিনি কার্যত স্বাধীনভাবে সমরকন্দ শাসন করতে থাকেন। তাঁকে “পিতা” উপাধি প্রদান করা হয়। ইয়ালাংতুশ বাহাদুরের নিজস্ব সেনাবাহিনী ছিল, এবং আশেপাশের অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে তিনি বিপুল সম্পদ অর্জন করেন।

তিনি বুখারা খানাতের সব সামরিক অভিযানে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। উদাহরণস্বরূপ, ১৬২৩ ও ১৬৩১ সালে ইরানি সেনারা যখন বলখ প্রদেশে আক্রমণ করে, তখন ইয়ালাংতুশ বাহাদুরের নেতৃত্বে একটি বড় সেনাদল গভর্নর নাদর মুহাম্মদ খানকে সহায়তা করতে যায়।

১৬৪০ সালে ইমাম কুলি খান রুশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে কালমিকদের সঙ্গে যুদ্ধে অংশ নিতে ইয়ালাংতুশ বাহাদুরের নেতৃত্বে বারো আমির ও এক বৃহৎ বাহিনী পাঠানোর ইচ্ছা জানিয়ে মস্কোতে দূত প্রেরণ করেন।

১৬৪২ সালে ইমাম কুলি খান অন্ধ হয়ে গেলে ইয়ালাংতুশ বাহাদুর ও অন্যান্য আমিররা বলখ থেকে নাদর মুহাম্মদকে এনে সিংহাসনে বসান। নাদর মুহাম্মদ ইয়ালাংতুশকে দারাই সুফ অঞ্চলসহ আরও কয়েকটি এলাকা ইক্তা হিসেবে প্রদান করেন।

১৬৪৫ সালে ইয়ালাংতুশ বাহাদুর বুখারায় নাদর মুহাম্মদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন এবং খোজান্দে খানবিরোধী বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন। বিদ্রোহীরা বুখারা অভিমুখে অগ্রসর হয়ে সুলতান আবদুলআজিজকে বন্দি করে। পরে ওকতেপা অঞ্চলে তাঁকে খান ঘোষণা করা হয় এবং রাজধানী অবরোধ করা হয়। তিন মাসের অবরোধের পর নাদর মুহাম্মদ শহর ত্যাগে বাধ্য হন ও শাহজাহানের কাছ থেকে সাহায্য চান।

১৬৪৬ সালে শাহজাহান তাঁর পুত্র মুরাদবখ্‌শকে এক বিশাল সেনাদল নিয়ে বলখে পাঠান, কিন্তু তারা এলাকাটি রক্ষা না করে দখল করে ফেলে। বাবুরীয়রা দুই বছরেরও বেশি সময় বলখ শাসন করলেও স্থায়ী হতে পারেনি। ১৬৪৮ সালের গ্রীষ্মে আবদুলআজিজ খান প্রায় দুই লক্ষ সৈন্য নিয়ে ইয়ালাংতুশ বাহাদুরের নেতৃত্বে বলখ পুনরুদ্ধার করেন।

ইয়ালাংতুশ বাহাদুর তাঁর দৃঢ়সংকল্প ও সামরিক দক্ষতার জন্য বিশেষভাবে খ্যাতি অর্জন করেন এবং “বাহাদুর” বা “বীর” উপাধিতে ভূষিত হন।

সৃজনশীল কাজ

ইয়ালাংতুশ বাহাদুর সমরকন্দে নগর উন্নয়ন ও স্থাপত্য নির্মাণে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর উদ্যোগে শেরদার মাদ্রাসা, তিলাকরি মাদ্রাসা, মখদুমে আজম মসজিদ ও খানকা (১৬১৮) সহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা নির্মিত হয়।

আবু তাহির হোজানীৎ তাঁর “সামারিয়া” গ্রন্থে লিখেছেন, “বাহাদুরের সমাধি সমরকন্দের নিকটবর্তী দাহবেদে, মখদুমে আজমের পায়ের নিচে, সমাধির ভেতরের দেয়ালের পাশে অবস্থিত।”

জনগণের মধ্যে ইয়ালাংতুশ বাহাদুর সম্পর্কে বহু কাহিনি ও কিংবদন্তি প্রচলিত রয়েছে, যেমন—“নালাংতুশ বাতির” গল্প।

বংশধর

ইয়ালাংতুশবীর একমাত্র পুত্র আমির বয়বেকের মৃত্যুর পর তাঁর বংশে আর কোনো পুরুষ উত্তরসূরি অবশিষ্ট ছিল না। তাঁর এক কন্যাই রেগিস্তান চত্বরে মাদ্রাসার নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেন।

স্মারক

ইয়ালাংতুশ বাহাদুরকে সমরকন্দ থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরের দাহবেদে তাঁর আধ্যাত্মিক গুরুর পায়ের নিচে সমাধিস্থ করা হয়। তাঁর কন্যারাও সেখানে সমাধিস্থ আছেন।

আধুনিক সমরকন্দের অন্যতম প্রধান সড়কের নামকরণ করা হয়েছে ইয়ালাংতুশ বাহাদুর সড়ক

২০২৪ সালে চলচ্চিত্র নির্মাতা জাহাঙ্গির আহমেদভ ইয়ালাংতুশ বাহাদুরের স্মরণে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যা উজবেক চলচ্চিত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।

Bangla SUbtitle- Play Server

English SUbtitle- Play Server

About Osmani Khelafot (উসমানী খেলাফত)

Watch Kurulus osman,Alparslan Buyuk Selcuklu, Barbaroslar, Destan and others Turkish and Islamic series and Movies With Bangla and English Subtitles 4K,FHD and HD FREE. Watch Turkish series and movies Bangla and English Subtitles within 3 hours of reliese of the episode Turkish series and movies Bangla and English Subtitles

উসমানী খেলাফত একটি বাংলা সাবটাইটেল প্লাটফর্ম। আমারা ২০২২ সালের জুন মাসে আমাদের যাত্রা শুরু করি। আমরা সুস্থ সাংস্কিতি প্রচারের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিভিন্ন ইসলামিক, ঐতিহাসিক, সামাজিক সিরিজ ও মুভির বাংলা সাবটাইটেল করে থাকি। আমাদের কাজের ভিতর অন্যতম হল: কুরুলুস উসমান, উয়ানিশ বুয়ুক সেলজুক, আল্প আর্সালান বুয়ুক সেলজুক, বারবারোসলার, দেস্তান, মেন্দিরমান জালোলিদ্দিন, পায়িথাত আব্দুল হামিদ, মেন্দিরমান জালালুদ্দিন, আতেশ কুশালিরি এবং, অন্যান্য। বাংলা ভাষাভাষী লোকদের মাঝে এ সকল সিরিজ পৌছে দেওয়ার জন্য একদল তরুন কাজ করে যাচ্ছে। আপনাদের ভালবাসা, তথ্য ও মতামত আমাদের কাম্য। আমরা আমাদের যর্থাসাধ্য চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে আমাদের মানসম্মত সাবটাইটেল দেওয়ার চেষ্টা করছি এবং আগামীতে আমরা সেইটা অব্যাহত রাখবো। আমাদের সাবটাইটেল সম্পর্কে আপনাদের কোন মন্তব্য থাকলে আমাদের ওয়েব সাইট এ Contact-Us এ গিয়ে আমাদের জানাবেন।

আরেকটি বিষয় যেইটা অনেক গুরুত্বপুর্ন, কেউ যদি আমাদের ভিডিও নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রচার করতে চান তাহলে দয়া করে আমাদের ভিডিও এর অনুবাদক এবং পেইজ ম্যানশন দিতে ভুলবেন না

ধন্যবাদ সবাই সুন্দর এবং সাবলিল সাবটাইটেল দেখতে আমার সাইট ভিজিট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *